May 3, 2024, 3:54 am

সংবাদ শিরোনাম :
চোরাচালান লাইনম্যান রুবেল আহমদ বেপরোয়া জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া বিছানাকান্দি সীমান্তে অবৈধ পথে ঢুকছে ভারতীয় গরু :নেপথ্যে গোলাম হোসেন! বাদাঘাট মসজিদে ৫ লাখ টাকার অনুদান দিলেন সেলিম আহমদ এমপি রতনের আশীর্বাদ : যাদুকাটা গিলে খাচ্ছে রতন-মঞ্জু গোয়াইনঘাটে স্কুলের নামে প্রবাসীর জমি দখল গোয়াইনঘাটে এক শিবির নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ  সিলেটে শেখ হাসিনার প্রথম সফর স্মরণ করে আবহবিচ’র দু’আ মাহফিল শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমণের ৪৩ বছর সোমবার সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক এমপির আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নির্বাচিত সুনামগঞ্জের গোলাম আজম তালুকদার দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মোখা:‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্বাচনের ৪ দিন আগে নতুন যে প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান উত্তাল পাকিস্তান, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘটত না: ট্রাম্প কী হচ্ছে, আর কী হবে তা সময়ই বলে দেবে: অপু বিশ্বাস
শেখ হাসিনা সরকারের এক যুগ: বিস্ময়কর সাফল্যে বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা সরকারের এক যুগ: বিস্ময়কর সাফল্যে বাংলাদেশ

Please Share This Post in Your Social Media

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার দুই বছর শেষ করে আজ তিন বছরে পা দিচ্ছে। দলটি আগের দুই মেয়াদে ১০ বছরসহ টানা একযুগে উন্নয়ন ও সাফল্যে বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত করেছে বাংলাদেশকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতির নতুন নতুন মাইলফলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ রিজার্ভের রেকর্ড, খাদ্য নিরাপত্তা, সমুদ্র বিজয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি, মানুষের গড় আয়ু ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঈর্ষণীয় সাফল্য সারা বিশ্বে এখন আলোচিত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা ক্ষেত্রে এর স্বীকৃতি মিলেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর চলতি বছরেই মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এ বছরই জাতিসংঘের এই ঘোষণা দেওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১-এর পর ভিশন-২০৪১-এর উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে অদম্যগতিতে এগিয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের এক যুগের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের ফসল হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা। গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ভৌগোলিক মুক্তির রোল মডেল আর তার কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল।’ সরকারের টানা একযুগ পূর্তি উপলক্ষে তার বাসভবন থেকে ধানমন্ডির কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা, সাহসিকতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ বিশ্ব নন্দিত। একসময়ে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন ফিরে পেয়েছে ঐতিহ্য।’
তিনি বলেন, ‘পাট রপ্তানিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে প্রথম। ইলিশে প্রথম, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়, অন্যান্য ক্ষেত্রসহ চাল উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় রেখে চলছে অনবদ্য অবদান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অতীতের অবিশ্বাসের কৃত্রিম দেয়াল ভেঙে নির্মিত হয়েছে সম্পর্কের নতুন সেতুবন্ধন। সমাধান হয়েছে দীর্ঘদিনের ছিটমহল বিনিময় কার্যক্রম।’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক এবং যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই যোগাযোগ খাতে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুৎ, পায়রাবন্দর, মাতারবাড়ি প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর, বছরের প্রথমদিনে পাঠ্যপুস্তক উৎসব প্রধানমন্ত্রীর অবদান। শেখ হাসিনার হাত ধরেই মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণাধীন। স্বপ্নের পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কারণে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুজিবাদর্শ ধারণের কারণে।’ গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আলী আকবর মেমোরিয়াল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এর আগে অনেক সরকার এসেছে-গেছে। তারা মানুষের জন্য কিছু করেনি। বার বার এদেশকে লুটপাট করেছে। দুর্নীতির আড্ডাখানা বানিয়েছে। মাদক দিয়ে যুবক-তরুণদের বিকলাঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আজকে সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা গর্ব ও অহঙ্কার করে বলতে পারি, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এক সময় একটি রাস্তা বা কালভার্ট করার জন্য বিদেশি সাহায্য লাগত। সেই বাংলাদেশ এখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রাবন্দর করছে। যেই পদ্মাসেতু নিয়ে খালেদা-ইউনূস ষড়যন্ত্র করেছিল। সেই সেতু আজ দৃশ্যমান হয়েছে। এসব উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে দেখছে। বাংলাদেশকে এ জায়গায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।’
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে বর্তমান সরকার। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রাষ্ট্রক্ষমতায় টানা ১২ বছর পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের ইতিহাসে জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকার হিসেবে বেশি মেয়াদে ক্ষমতায় থাকারও রেকর্ড গড়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। এরপর ২৩ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার দায়িত্বভার গ্রহণ করে শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনবদলের সনদ’ নামে নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। এতে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রতিটি ইশতেহারে গণতন্ত্র, ক্ষমতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদক নির্মূলের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত বিষয়গুলোর অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি ২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে ১০০ বছরমেয়াদি ‘ডেল্টা প্ল্যান’। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের শুরুতে সরকার গঠনের পরপরই সারা দেশে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। দ্বিতীয় মেয়াদেও সরকার অপরবির্তিত থাকায় তা আরো গতি পায়। ঢাকাসহ সারা দেশের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় ধাবমান ঘোড়ার মতো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। দীর্ঘদিনের বাধা কাটিয়ে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে আসে অবিশ্বাস্য সাফল্য। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও টানা তৃতীয়বার জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর আগে দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, রেলসহ সংশ্লিষ্ট খাতগুলোয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বৃহৎ প্রায় এক ডজন প্রকল্পের কাজ শুরু করে সরকার। এগিয়েও যাচ্ছিল বেশ দ্রুতগতিতে। তরতর করে বাড়তে থাকে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি। বেশ কয়েকটি খাতে উন্নয়নের চিত্র আগের সরকারের সঙ্গে তুলনা করলে খুব সহজেই চোখে পড়বে।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ২০০৬ সালে রপ্তানি আয় এক দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরে রপ্তানি আয় দাঁড়ায় এক দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে রপ্তানি আয় হয় ৪১ দশমিক এক বিলিয়ন ডলার। টানা একযুগ পূর্তিতে ২০২০ সালে (কোভিড-১৯) মহামারির জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০০৬ সালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ছয় দশমিক ৬৩ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের বছর ২০০৯ সালে তা ছিল পাঁচ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রায় টানা এক দশক ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে পাঁচ শতাংশের বৃত্ত ভেঙে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে নতুন এক অধ্যায় শুরু করে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আট দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এরপর করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হলেও বাংলাদেশ পাঁচ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় ২০০৬ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক দুই শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে ২০০৯ সালে ছিল ১৯ দশমিক তিন শতাংশ। ২০১৮ সালে কমে তা ১১ দশমিক তিন শতাংশে আসে। বর্তমান ২০২০ সালের তথ্য চিত্র অনুযায়ী অতি দারিদ্র্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।
২০০৬ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল ৪৫ দশমিক ছয় কোটি ডলার। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে ২০০৯ সালে ছিল ৯৬ দশমিক এক কোটি ডলার। ২০১৮ তা বেড়ে ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। বর্তমান সরকারের একযুগ পূর্তিতে এখন বৈদেশিক বিনিয়োগ তিন দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ২০০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলার। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের বছর ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক বিলিয়ন ডলারে। ২০১৮ সালে হয় ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৬০ মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে আয় ছিল ৭১০ ডলার। ২০১৮ সালে তা এসে দাঁড়ায় এক হাজার ৭৫২ ডলারে। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছিল ৫০০ টাকা। ২০০৯ সালে দেওয়া হয় ৯০০ টাকা করে। বর্তমান দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার টাকা করে।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের ২০০৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১তম। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সময় ২০০৯ সালে ৯৩তম হয়। ২০১৮ সালে -এর অবস্থান ৪৭তম। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম।
উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক পাঁচ শতাংশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের বছর ২০০৯ সালে ৩৪ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের বছরে ২০০৬ সালে খাদ্য উৎপাদন ছিল ২৭২ লাখ টন। আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের বছর ২০০৯ সালে খাদ্য উৎপাদন ছিল ৩৭৪ লাখ টন। ২০১৮ সালে ছিল ৪০০ লাখ টন। বর্তমান খাদ্য উৎপাদন হয় ৪০০ লাখ টন।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় ২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৫ দশমিক চার বছর। ২০০৯ সালে গড় আয়ু হয় ৬৬ দশমিক ৮ বছর। ২০১৮ সালে ছিল ৭২ দশমিক এক বছর। বর্তমানে গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ছয় বছর। বিদ্যুৎ খাত ছিল বেহাল। গত এক যুগে ছয় হাজার মেগাওয়াট থেকে এখন ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতায় পৌঁছেছে দেশ। তখন অবকাঠামো পরিস্থিতিও ছিল নাজুক। আর দারিদ্র্যের ছিল উচ্চ হার। একই সঙ্গে খাদ্য ঘাটতিও ছিল। কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে ছিল মন্দাবস্থা। গত এক যুগে এসব খাতে এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্যবিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর উন্নয়নের মতো বড় খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশ পরিচালনা শুরু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর পেরিয়ে গেছে এক যুগ। এ সময়ে বদলে গেছে দেশের উন্নয়নের দৃশ্যপট। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেন মহাসড়ক। নবনির্মিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সহজ করেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলবাসীর চলাচল। ঢাকা ও চট্টগ্রামে নির্মিত ফ্লাইওভারগুলোরও সুফল পাচ্ছে দেশবাসী। কক্সবাজার থেকে টেকনাফে নির্মিত হয়েছে ৮০ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ। চট্টগ্রামে নির্মাণ হচ্ছে বে-টার্মিনাল। ব্যাপক হারে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশজুড়ে করা হচ্ছে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রযুক্তিতে পরিবর্তন এনেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বেড়েছে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন। ফলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। নানা চড়াই-উতরাই আর বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির বদনাম ঘুচিয়ে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। ঢাকার জীবনকে সহজ আর গতিময় করতে মেট্রোরেলের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সংযোগ হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাস্তবায়ন কাজও এগিয়ে চলছে। পায়রা ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ আরো অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এর সবই সম্ভব হচ্ছে সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে।
এদিকে গত কয়েক বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, নবীনগর ডিইপিজেড-চন্দ্রা-যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, মিরপুর ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল, হানিফ ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। চলমান এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়কপথে চাপ কমবে। এর মাধ্যমে যেমন যানজট কমবে, তেমন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণে জ্বালানি ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। কমে আসবে পণ্য পরিবহন ব্যয়। বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড রেল স্থাপন প্রকল্পের কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইভাবে চলছে মেট্রোরেল লাইন-৬-এর কাজও। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের প্রথম অংশ দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও এগিয়ে চলছে। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) কাজেও গতি ফিরেছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। গত মার্চে খুলে দেওয়া হয়েছে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েটির মূল অংশ। এ প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ তেঘরিয়া থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ অংশের আড়াই কিলোমিটারই এলিভেটেড এবং বাকি অংশ সমতলভূমিতে নির্মিত। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এগিয়ে যাবে আরেক ধাপ। ঝিলমিলবাসীও এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবেন তেঘরিয়া থেকে। এ প্রকল্পের কাজও এ বছরের প্রথম প্রান্তিকেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যোগাযোগের আরেক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় তিন কিলোমিটারের সুড়ঙ্গ। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। গত নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও ২০২১ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজেও গতি ফিরেছে। বিশ্বের অত্যাধুনিক, দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর সমতুল্য হবে শাহজালাল বিমানবন্দর। যেখানে থাকবে ইংল্যান্ডের হিথ্রো, সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের জনএফ কেনেডির মতো আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ যে আর্থ-সামাজিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তার একটা ইতিবাচক বার্তা দেবে এ টার্মিনাল। সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩১ শতাংশের বেশি ভৌতকাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু করার নতুন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে কাজ। এমআরটি-৬ নামের এ প্রকল্পের উত্তরা থেকে আগারগাঁও ১১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত ২০২১ সাল এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ছিল। গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৫৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের বছরের নভেম্বরে সার্বিক অগ্রগতি ছিল ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর এ বছরের জানুয়ারিতে ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ কাজ এগিয়েছিল। আগামী দিনে পদ্মাসেতুর দু’পাড়ে সিঙ্গাপুরের আদলে শিল্পনগরী গড়ে তোলা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে গ্রামভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি গুচ্ছশিল্প কাঠামোয় সংযুক্ত করা, ঢাকা ঘিরে এলিভেটেড রিংরোড এবং ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণ করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ে রেললাইন নির্মাণ করা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, খুলনা এবং কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন সার্ভিস সম্প্রসারণ করা, বাগেরহাটে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করা, কক্সবাজারে সুপিরিয়র বিমান অবতরণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা, ঢাকায় পাতাল রেল, মেট্রোরেল, সার্কুলার রেলপথ এবং নব্য ও প্রশস্ত নৌপথ নির্মাণ করা, ৫ বছরে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা, ঢাকার আশপাশের চার নদীকে দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলাসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টানা একযুগ পূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি: এদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা একযুগ পূর্তিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন এবং দেশের মানুষের সার্বিক মঙ্গল কামনায় গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগ সারা দেশে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে । কেন্দ্রীয়ভাবে বুধবার বাদ আসর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে।  কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়, বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় এবং মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করে।





Calendar

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd